মঞ্চে নোবেলের মাতলামি, যা বললেন স্ত্রী সালসাবিল


 বিতর্ক ও শিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল একই পথে চলেন। বিভিন্ন সময় নানা মন্তব্য ও ঘটনার কারণে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। এবার কুড়িগ্রামে এক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে মাতলামি ও অসংলগ্ন আচরণ করতে দেখা গেল তাকে। মঞ্চে এমন অসংলগ্ন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দেখে ক্ষুব্ধ দর্শক-শ্রোতারা জুতা ও পানির বোতল ছুড়ে মারতে থাকেন তাকে। পরে আয়োজক কর্তৃপক্ষ মঞ্চে থেকে সরিয়ে নেয় তাকে।


এ ঘটনা নিয়ে নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলছেন, সকাল থেকে শুরু করে ডজন খানেক নিউজ। সমস্যাটা যদি শারীরিক হতো হয়তো বা মানুষ কমেন্টে দোয়ার মাহফিল বসাতো। কিন্তু সমস্যাটা মানসিক তাও আবার মাদক ঘটিত। যে রকম মানুষ নোবেল কোনো দিনই প্রথম থেকে ছিলোনা। এটা আমার নিজেরই দীর্ঘদিনের দেখা শোতে যাওয়ার সময় গাড়ি দাঁড় করিয়ে নোবেলের নামাজ পড়া। সা রে গা মা পা চলাকালীন সময়ে পুরো শুটিং ইউনিটকে বসিয়ে রেখে নামাজ পড়া আর সবার সঙ্গে অমায়িক ব্যবহার। আর সে মানুষটা এখন নিজের কার্যকলাপে নিজেই নিজেকে চিনতে পারে না। নিজের নিরহংকার রূপকে ঢেকে পরিবার ও ভক্তবৃন্দদের কাছে নিজের অস্বাভাবিক রূপ প্রকাশের দীর্ঘ প্রচেষ্টা।


সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ি ডিগ্রি কলেজের ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে গায়ক নোবেলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাত ৯টার দিকে তার গান গাওয়ার কথা থাকলেও তিনি মঞ্চে ওঠেন ১১টা ২০মিনিটে।


মঞ্চে উঠে নোবেল তার চশমা খুলে পাঞ্জাবির কলারে রেখে বলেন, দ্বিতীয় বার কুড়িগ্রাম আসলাম। এর আগে এসেছিলাম তোমাদের সঙ্গে দেখা হয়নি। সুদূর ইন্ডিয়ার বর্ডার লাইনে থেকে গেছিলাম। তোমাদের কারও সঙ্গে দেখা হয়নি। এবার দেখা হলো আলহামদুলিল্লাহ।


এরপর এই আমার চশমাটা কই বলে চিৎকার করেন। পরে চশমা পেয়ে চোখে পড়ে ‘সে যে আমার জন্মভূমি’ গান পরিবেশন করেন। এসময় তিনি মাইক্রোফোন স্ট্যান্ড আছড়ে ভেঙে ফেলেন। এরপর তিনি স্টেজে দু’পা তুলে প্যারেড করার মতো লাথি মেরে পরনের প্যান্ট দু’হাত দিয়ে ঠিক করে তিনি গান ধরেন ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’।


গানের এক পর্যায় অসলংগ্ন আচরণ করতে করতে বসে পড়েন। তার এমন এমন আচরণের (মাতলামি) কারণে ক্ষেপে গিয়ে দর্শকরা জুতা ও পানির বোতলের ঢিল ছুড়ে মারেন নোবেলের দিকে। পরে স্টেজে থাকা কয়েকজন এবং আয়োজকবৃন্দ নোবেলকে সরিয়ে নিয়ে যায়। 


Post a Comment

Previous Post Next Post