কেষ্ট-কন্যার ‘পাশে’ বিমান বসু দেখুন কি বললেন তিনি

তিনি অনুব্রত মণ্ডলের ‘কাজ’-এর বিরুদ্ধে। তবে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারিকে সমর্থন করেন না। হুগলির কোন্নগরে এসে এমনই জানালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে বিমানের মন্তব্য, ‘‘মেয়েকে খারাপ পথে নিয়ে গেল কে?’’    সোমবার কোন্নগরের বড় বহেরা মাঠে এসএফআইয়ের সভায় ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, সভাপতি প্রতিকুর রহমানরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারি এবং তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁর মেয়ে সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন বিমান। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান প্রজন্মকে কলুষিত করার জন্য যাঁরাই আছেন, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে। তাই আমি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি হয়তো গরু পাচার, কয়লা পাচারে হাত পাকিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মেয়ে তো করেননি।’’    প্রসঙ্গত, গত বুধবার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তদন্তে অসহযোগিতা করছেন সুকন্যা। তাঁকে ৩ বার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই ডাক এড়িয়েছেন। অনুব্রত আর তাঁর মেয়ে দু’জনেই এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এই প্রসঙ্গে বিমান বলেন, ‘‘অনুব্রত নিজে বলেছেন, এটা কি সিবিআইয়ের বাহাদুরি হল? গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত উনি (সুকন্যা)। এবং তিনি এই প্রজন্মের এক কন্যা। কিন্তু তাঁকে খারাপ পথে নিয়ে গেল কে? বীরভূমের জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যিনি সুকন্যার বাবা।’’    বিমান আরও বলেন, ‘‘যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁদের কাজ কি খারাপ জিনিস শেখানো? বাড়িতে বসে নিজের মেয়েকে খারাপ কিছু শিখিয়েছেন? তাঁকে (সুকন্যা) যখন জিজ্ঞাসা করা হত, তখন তিনি বলতেন, আমার বাবা জানেন। আর জানে হিসাবরক্ষক। বোধ হয় সবটা মিথ্যা নয়। কিছু জিনিস হয়তো উনি জানতেন। কিন্তু সব জিনিস যে জানতেন সেটা না-ও হতে পারে।’’    আবার অনুব্রতের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিমান। একই সঙ্গে তাঁর মেয়েকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘চালকল যে ওদের ছিল, সেটা হয়তো জানতেন। সই তো করতে হয়েছে। কিন্তু এত সম্পত্তির কথা জানতেন না বোধহয়। বংশগত ভাবে পাননি।’’ আবার বিমান এ-ও বলেন, ‘‘অনুব্রত অভিযুক্ত। তবে অভিযুক্ত মানেই দাগি আসামি হয়ে গেল এটা যেমন ঠিক নয় আবার তাঁর যে বেহিসেবি সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে সেটাও আকাশ থেকে পড়েনি।’’  তথ্যসুত্র:anandabazar


তিনি অনুব্রত মণ্ডলের ‘কাজ’-এর বিরুদ্ধে। তবে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারিকে সমর্থন করেন না। হুগলির কোন্নগরে এসে এমনই জানালেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে বিমানের মন্তব্য, ‘‘মেয়েকে খারাপ পথে নিয়ে গেল কে?’’


সোমবার কোন্নগরের বড় বহেরা মাঠে এসএফআইয়ের সভায় ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, সভাপতি প্রতিকুর রহমানরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারি এবং তদন্ত অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁর মেয়ে সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন বিমান। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান প্রজন্মকে কলুষিত করার জন্য যাঁরাই আছেন, আমি তাঁদের বিরুদ্ধে। তাই আমি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি হয়তো গরু পাচার, কয়লা পাচারে হাত পাকিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর মেয়ে তো করেননি।’’


প্রসঙ্গত, গত বুধবার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তদন্তে অসহযোগিতা করছেন সুকন্যা। তাঁকে ৩ বার তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই ডাক এড়িয়েছেন। অনুব্রত আর তাঁর মেয়ে দু’জনেই এখন তিহাড় জেলে বন্দি। এই প্রসঙ্গে বিমান বলেন, ‘‘অনুব্রত নিজে বলেছেন, এটা কি সিবিআইয়ের বাহাদুরি হল? গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত উনি (সুকন্যা)। এবং তিনি এই প্রজন্মের এক কন্যা। কিন্তু তাঁকে খারাপ পথে নিয়ে গেল কে? বীরভূমের জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যিনি সুকন্যার বাবা।’’


বিমান আরও বলেন, ‘‘যাঁরা রাজনীতি করেন তাঁদের কাজ কি খারাপ জিনিস শেখানো? বাড়িতে বসে নিজের মেয়েকে খারাপ কিছু শিখিয়েছেন? তাঁকে (সুকন্যা) যখন জিজ্ঞাসা করা হত, তখন তিনি বলতেন, আমার বাবা জানেন। আর জানে হিসাবরক্ষক। বোধ হয় সবটা মিথ্যা নয়। কিছু জিনিস হয়তো উনি জানতেন। কিন্তু সব জিনিস যে জানতেন সেটা না-ও হতে পারে।’’


আবার অনুব্রতের সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিমান। একই সঙ্গে তাঁর মেয়েকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘চালকল যে ওদের ছিল, সেটা হয়তো জানতেন। সই তো করতে হয়েছে। কিন্তু এত সম্পত্তির কথা জানতেন না বোধহয়। বংশগত ভাবে পাননি।’’ আবার বিমান এ-ও বলেন, ‘‘অনুব্রত অভিযুক্ত। তবে অভিযুক্ত মানেই দাগি আসামি হয়ে গেল এটা যেমন ঠিক নয় আবার তাঁর যে বেহিসেবি সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে সেটাও আকাশ থেকে পড়েনি।’’

তথ্যসুত্র:anandabazar

 

Post a Comment

Previous Post Next Post