হুজুর জামিন দিন, আদালতে কাকুতিমিনতি অনুব্রত মণ্ডলের

অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বুধবার রাতে। তার পর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারকের কাছে জামিনের জন্য কাকুতিমিনতি করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিচারকের কাছে একই সুরে জামিনের আবেদন করতে শোনা গেল অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনকেও। শুনানিতে তাঁদের আবেদনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোল আদালতের বিচারক। অনুব্রত এবং সহগল জামিনের আবেদন জানিয়েছেন মৌখিক ভাবে। এই আবেদন অবশ্য করেননি তাঁদের আইনজীবী।  অনুব্রত এবং সহগলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দায়ের করা গরু পাচার মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেই ভার্চুয়াল শুনানিতে তিহাড় জেল থেকে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত এবং সহগল। আসানসোল আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘অনুব্রতবাবু কেমন আছেন?’’ অনুব্রত জানান, তাঁর শরীর ভাল নেই। তাঁর ‘অনেক সমস্যা’ রয়েছে বলেও জানান তিনি। এর পর বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনি যে আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে তার স্ট্যাটাস কী?’’ উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘স্যর এখনও সেটা চলছে। আমাকে আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন।’’ তার জবাবে বিচারক বলেন, ‘‘ওটা তো হাইকোর্টের বিষয়। আমার হাতে নেই।’’  এর পর বিচারক আবার অনুব্রতকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘এমনি কেমন আছেন?’’ উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘ঠিক আছি।’’ এর পর, সহগলকে বিচারক জিজ্ঞেস করেন, ‘‘সহগল, সব ঠিক আছে?’’ সেই সময় পাশ থেকে অনুব্রত বলে ওঠেন, ‘‘সিবিআই মামলায় আমায় এ বার বেল (জামিন) দিয়ে দিন। ওটা ফলস কেস (মিথ্যা মামলা)।’’ এর উত্তরে বিচারক বলেন, ‘‘আমরা এ ভাবে জামিন দিতে পারি না, দু’পক্ষের আইনজীবীর কথা না শুনে কী ভাবে জামিন দেব? তার জন্য আপনার আইনজীবী তো আবেদন করবে। তার পর তো শুনানি হবে। কিন্তু সেটা তো কেউ করেননি। আমি কী জানি, সেটা বড় কথা নয়। আর আপনার মামলা তো দিল্লি হাইকোর্টে রয়েছে। সেটা কী হল তা জেনে আসানসোল জেলে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হবে।’’  এর পর বিচারক অনুব্রতকে আবার প্রশ্ন করেন, ‘‘তিহাড় জেলে কেমন আছেন? যদি কোনও অসুবিধা হয় জেল সুপারকে জানাবেন। ওখানে পরিবেশ তো একটু আলাদা। কোনও রকম দ্বিধা-সঙ্কোচ করবেন না।’’ ওই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ মে।

 অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বুধবার রাতে। তার পর দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারকের কাছে জামিনের জন্য কাকুতিমিনতি করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বিচারকের কাছে একই সুরে জামিনের আবেদন করতে শোনা গেল অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনকেও। শুনানিতে তাঁদের আবেদনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আসানসোল আদালতের বিচারক। অনুব্রত এবং সহগল জামিনের আবেদন জানিয়েছেন মৌখিক ভাবে। এই আবেদন অবশ্য করেননি তাঁদের আইনজীবী।


অনুব্রত এবং সহগলের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের দায়ের করা গরু পাচার মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। সেই ভার্চুয়াল শুনানিতে তিহাড় জেল থেকে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত এবং সহগল। আসানসোল আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অনুব্রতকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘অনুব্রতবাবু কেমন আছেন?’’ অনুব্রত জানান, তাঁর শরীর ভাল নেই। তাঁর ‘অনেক সমস্যা’ রয়েছে বলেও জানান তিনি। এর পর বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘আপনি যে আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে তার স্ট্যাটাস কী?’’ উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘স্যর এখনও সেটা চলছে। আমাকে আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন।’’ তার জবাবে বিচারক বলেন, ‘‘ওটা তো হাইকোর্টের বিষয়। আমার হাতে নেই।’’


এর পর বিচারক আবার অনুব্রতকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘এমনি কেমন আছেন?’’ উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘ঠিক আছি।’’

এর পর, সহগলকে বিচারক জিজ্ঞেস করেন, ‘‘সহগল, সব ঠিক আছে?’’ সেই সময় পাশ থেকে অনুব্রত বলে ওঠেন, ‘‘সিবিআই মামলায় আমায় এ বার বেল (জামিন) দিয়ে দিন। ওটা ফলস কেস (মিথ্যা মামলা)।’’

এর উত্তরে বিচারক বলেন, ‘‘আমরা এ ভাবে জামিন দিতে পারি না, দু’পক্ষের আইনজীবীর কথা না শুনে কী ভাবে জামিন দেব? তার জন্য আপনার আইনজীবী তো আবেদন করবে। তার পর তো শুনানি হবে। কিন্তু সেটা তো কেউ করেননি। আমি কী জানি, সেটা বড় কথা নয়। আর আপনার মামলা তো দিল্লি হাইকোর্টে রয়েছে। সেটা কী হল তা জেনে আসানসোল জেলে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হবে।’’


এর পর বিচারক অনুব্রতকে আবার প্রশ্ন করেন, ‘‘তিহাড় জেলে কেমন আছেন? যদি কোনও অসুবিধা হয় জেল সুপারকে জানাবেন। ওখানে পরিবেশ তো একটু আলাদা। কোনও রকম দ্বিধা-সঙ্কোচ করবেন না।’’ ওই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১ মে।

Post a Comment

Previous Post Next Post