Bengali Food: এই গরমে কাঁচা আম দিয়ে বানিয়ে নিন মুসুর ডাল,

Healthy Food Recipe: এই গরমে টকের ডাল দারুণ উপকারী। বাঙালিদের এই টকের ডাল বহু পুরনো রেসিপি।     সবচেয়ে সহজ ও সুস্বাদু হল কাঁচা আম দিয়ে মুসুর ডাল।যে হারে এখন গরম বেড়েছে তাতে খাওয়া-দাওয়া ঠিক না রাখলেই বিপদ। এই গরমে যত বেশি হালকা খাবার খাওয়া যায়, ততই ভাল। এই গরমে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। তেলে ভাজাভুজি খাবার এই গরমে না খাওয়াই ভাল। বরং, এমন খাবার খান, যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। যে খাবার খেলে এই তাপপ্রবাহের মধ্যেও আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে। সাধারণত পুষ্টিবিদেরা জল যুক্ত খাবার সাজেস্ট করেন। প্রচুর পরিমাণে জল পানের সঙ্গে জোর দেওয়া হল ফলের রস, জ্যুস, শরবত ইত্যাদির উপর। কিন্তু আমাদের বাঙালিদের এমন কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে, যা এই গরমের আবহাওয়ার জন্য অমৃত। বাঙালি খাবারই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে। তেমনই একটি পদ হল টকের ডাল।    ডাল-ভাত-তরকারি রোজের খাবার। এই খাবারে যে পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়, তা অনেক পদেই নেই। রোজের ডাল ভাত তো খান, শুধু ডাল তৈরির সময় কাঁচা আম মিশিয়ে নিন। এই গরমে টকের ডাল দারুণ উপকারী। বাঙালিদের এই টকের ডাল বহু পুরনো রেসিপি। কেউ কেউ আম দিয়ে মুগের ডাল খান। আবার কারও পছন্দ আমড়ার তৈরি ডাল। তবে, সবচেয়ে সহজ ও সুস্বাদু হল কাঁচা আম দিয়ে মুসুর ডাল।    শিক্ষামন্ত্রক নিযুক্ত জেআরএম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারত সরকারের কাছে যে অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল বাংলার সরকার, তা অনুসারে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পিএম পোষণ প্রকল্পের অধীনে ১৪০.২৫ কোটি খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। কিন্তু, জেলাগুলি থেকে রাজ্য সরকারকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে এই হিসেব মিলছে না। জেলাগুলির রিপোর্ট অনুসারে, উপরোক্ত সময়কালে পরিবেশিত খাবারের সংখ্যা ছিল ১২৪.২২ কোটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “এইভাবে, ১৬ কোটিরও বেশি অতিরিক্ত খাবারের প্রতিবেদন করা হয়েছে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা। সংশ্লিষ্ট উপাদান খরচ ছিল ১০০ কোটি টাকা। রাজ্য দাবি করে যে গড়ে ৯৫ শতাংশের বেশি শিশু মিড ডে মিলের খাবার গ্রহণ করে। তবে, পরিদর্শনের সময় দেখা গিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মিড ডে মিলের খাবার গ্রহণ করেছে ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিশু।” এই রিপোর্টে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করা, খাদ্যশস্যের ভুল বরাদ্দ, নির্ধারিত পরিমাণ থেকে ৭০ শতাংশ কম চাল, ডাল এবং শাকসবজি রান্না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ মশলা ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।    কাঁচা আম দিয়ে মুসুর ডাল তৈরি করার পদ্ধতি-    উপকরণ: ১ কাপ মুসুর ডাল, ১ টা কাঁচা আম, ২টো শুকনো লঙ্কা, ১ চা চামচ গোটা সর্ষে, স্বাদ অনুযায়ী নুন ও চিনি, ১ চা চামচ হলুদ, ২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল আর ২টো কাঁচা লঙ্কা।    পদ্ধতি:    প্রথমে ডালটা ধুয়ে নিন জলে ভিজিয়ে রাখুন। কমপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা জলে ডালটা ভিজিয়ে রাখবেন। এতে ডাল ভাল সেদ্ধ হয় এবং এর পুষ্টিগুণও বজায় থাকে। এরপর ডালটা প্রেশার কুকারে দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।    কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করুন। এবার এতে শুকনো লঙ্কা, গোটা সর্ষে ফোড়ন দিন। এবার সেদ্ধ করা রাখা ডালটা এতে দিয়ে দিন। এবার এতে হলুদ, নুন, চিনি ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। পরিমাণ মতো জল দেবেন। এবার এতে কাঁচা আম টুকরো করে দিয়ে দিন। আম সেদ্ধ হওয়া অবধি ভাল করে ডালটা ফুটিয়ে নিন। আম সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে টকের ডাল। দুপুরবেলা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন টকের ডাল।

 Healthy Food Recipe: এই গরমে টকের ডাল দারুণ উপকারী। বাঙালিদের এই টকের ডাল বহু পুরনো রেসিপি। 


সবচেয়ে সহজ ও সুস্বাদু হল কাঁচা আম দিয়ে মুসুর ডাল।যে হারে এখন গরম বেড়েছে তাতে খাওয়া-দাওয়া ঠিক না রাখলেই বিপদ। এই গরমে যত বেশি হালকা খাবার খাওয়া যায়, ততই ভাল। এই গরমে অতিরিক্ত মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। তেলে ভাজাভুজি খাবার এই গরমে না খাওয়াই ভাল। বরং, এমন খাবার খান, যা আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। যে খাবার খেলে এই তাপপ্রবাহের মধ্যেও আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে। সাধারণত পুষ্টিবিদেরা জল যুক্ত খাবার সাজেস্ট করেন। প্রচুর পরিমাণে জল পানের সঙ্গে জোর দেওয়া হল ফলের রস, জ্যুস, শরবত ইত্যাদির উপর। কিন্তু আমাদের বাঙালিদের এমন কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে, যা এই গরমের আবহাওয়ার জন্য অমৃত। বাঙালি খাবারই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে। তেমনই একটি পদ হল টকের ডাল।


ডাল-ভাত-তরকারি রোজের খাবার। এই খাবারে যে পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়, তা অনেক পদেই নেই। রোজের ডাল ভাত তো খান, শুধু ডাল তৈরির সময় কাঁচা আম মিশিয়ে নিন। এই গরমে টকের ডাল দারুণ উপকারী। বাঙালিদের এই টকের ডাল বহু পুরনো রেসিপি। কেউ কেউ আম দিয়ে মুগের ডাল খান। আবার কারও পছন্দ আমড়ার তৈরি ডাল। তবে, সবচেয়ে সহজ ও সুস্বাদু হল কাঁচা আম দিয়ে মুসুর ডাল।


শিক্ষামন্ত্রক নিযুক্ত জেআরএম-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষের প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ভারত সরকারের কাছে যে অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিয়েছিল বাংলার সরকার, তা অনুসারে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে পিএম পোষণ প্রকল্পের অধীনে ১৪০.২৫ কোটি খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। কিন্তু, জেলাগুলি থেকে রাজ্য সরকারকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে এই হিসেব মিলছে না। জেলাগুলির রিপোর্ট অনুসারে, উপরোক্ত সময়কালে পরিবেশিত খাবারের সংখ্যা ছিল ১২৪.২২ কোটি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “এইভাবে, ১৬ কোটিরও বেশি অতিরিক্ত খাবারের প্রতিবেদন করা হয়েছে। এটি একটি গুরুতর সমস্যা। সংশ্লিষ্ট উপাদান খরচ ছিল ১০০ কোটি টাকা। রাজ্য দাবি করে যে গড়ে ৯৫ শতাংশের বেশি শিশু মিড ডে মিলের খাবার গ্রহণ করে। তবে, পরিদর্শনের সময় দেখা গিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে মিড ডে মিলের খাবার গ্রহণ করেছে ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিশু।” এই রিপোর্টে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের এই প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করা, খাদ্যশস্যের ভুল বরাদ্দ, নির্ধারিত পরিমাণ থেকে ৭০ শতাংশ কম চাল, ডাল এবং শাকসবজি রান্না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ মশলা ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।


কাঁচা আম দিয়ে মুসুর ডাল তৈরি করার পদ্ধতি-


উপকরণ: ১ কাপ মুসুর ডাল, ১ টা কাঁচা আম, ২টো শুকনো লঙ্কা, ১ চা চামচ গোটা সর্ষে, স্বাদ অনুযায়ী নুন ও চিনি, ১ চা চামচ হলুদ, ২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল আর ২টো কাঁচা লঙ্কা।


পদ্ধতি:


প্রথমে ডালটা ধুয়ে নিন জলে ভিজিয়ে রাখুন। কমপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা জলে ডালটা ভিজিয়ে রাখবেন। এতে ডাল ভাল সেদ্ধ হয় এবং এর পুষ্টিগুণও বজায় থাকে। এরপর ডালটা প্রেশার কুকারে দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।


কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করুন। এবার এতে শুকনো লঙ্কা, গোটা সর্ষে ফোড়ন দিন। এবার সেদ্ধ করা রাখা ডালটা এতে দিয়ে দিন। এবার এতে হলুদ, নুন, চিনি ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। পরিমাণ মতো জল দেবেন। এবার এতে কাঁচা আম টুকরো করে দিয়ে দিন। আম সেদ্ধ হওয়া অবধি ভাল করে ডালটা ফুটিয়ে নিন। আম সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে টকের ডাল। দুপুরবেলা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন টকের ডাল।


Post a Comment

Previous Post Next Post