জীবনে সাফল্য চাইলে গীতার এই ৫ উপদেশ মেনে চলুন

Bhagavad Gita


Gita Gyan অর্থাত্‍ গীতার বাণী আজও আমাদের জীবনে সমান প্রাসঙ্গিক। শ্রীমদ ভগবত্‍ গীতায় জীবনের সকল শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ। মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে অর্জুন কী করে তাঁর আপনজনদের উপর অস্ত্র চালনা করবেন, এই ভেবে সংশয়ে পড়েন। তখন জীবনের দর্শন শিক্ষা তাঁকে দান করেন শ্রীকৃষ্ণ। গীতার প্রতিটি শ্লোকই আমাদের জীবন সম্পর্কে মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। জীবনে কী ভাবে বাঁচবেন, কী ভাবে জীবন কাটাবেন তার সঠিক পথ আমাদের দেখায় গীতা।


গীতায় মোট ১৮টি অধ্যায় ও ৭০০টি শ্লোক রয়েছে। এই সকল শ্লোকের মধ্যেই আমরা জীবনের সমস্ত সংশয় ও সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই। গীতার শ্লোক সঠিক ভাবে আত্মস্থ করে অনুসরণ করতে পারলে যে কেউ জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারবেন। এখানে গীতার এমনই পাঁচটি উপদেশ নিয়ে আলোচনা করা হল।


গীতার ৫ উপদেশ


* শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন মন থেকে ইগো না সরালে কারোর পক্ষে জীবনে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। ইগো আমাদের সাফল্যের পথে প্রথান অন্তরায়। আর মন থেকে উচ্চ-নীচ ভেদ সরালে ইগোও সরে যাবে। শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, 'কর্ম করে যাও ফলের আশা কোরো না।' ফলের আশা না করে কর্ম করলে, সেই ফলই সাফল্য নিয়ে আসে।


* যে ব্যক্তি যোগ-ধ্যান করেন না, তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা লুপ্ত হয়েছে। তাঁর হৃদয়ে কোনও আবেগ নেই। কারণ ধ্যানাভ্যাসই আমাদের নিজেকে চিনতে শেখায়। যে নিজেকে জানে না, সে কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কী করে? যাঁর মনে আবেগ নেই, তাঁর মনে শান্তিও নেই। এই ধরনের ব্যক্তি জীবনে কখনোও সুখী হন না।


* শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন যে, যখন কোনও ব্যক্তি কোনও কিছু পাওয়ার আশা না করেই নিজের কর্ম করে যান, তিনিই সাফল্য অর্জন করেন। ইগো ও কামনা বাসনা ত্যাগ করে কাজ করতে পারলে তবেই জীবনে শান্তি ও সাফল্য পাবেন।


* গীতায় এক জায়গায় কৃষ্ণ বলেন, 'হে অর্জুন, যে ব্যক্তি আমাকে যে ভাবে স্মরণ করেন, আমি তাঁকে সেরকমই ফল প্রদান করি। আমার দেখানো পথ অনুসরণ করলে তবেই জীবনে মোক্ষলাভ সম্ভব হবে।'


* শ্রীকৃষ্ণ বলে গিয়েছেন, 'হে অর্জুন, তোমার কাজ করে যাওয়ার সবরকম অধিকার আছে। এই কাজের ফল কী হতে পারে, তা নিয়ে ভেবো না, বা তা ভেবে ভীত হোয়ো না। সামনে যাই ঘটুক না কেন, কোনও অবস্থাতেই নিদের কর্তব্য ও দায়িত্ব থেকে পিছু হোটো না। '

Post a Comment

Previous Post Next Post