১০ বছর পর জিয়া খান মামলা থেকে মুক্তি! সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে ছুটলেন সূরজ

১০ বছর পর জিয়া খান মামলা থেকে মুক্তি! সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পুজো দিতে ছুটলেন সূরজ


অভিনেতা জিয়া খানের আত্মহত্যার মামলায় খালাস পাওয়ার একদিন পরে শনিবার অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলির দেখা মিলল মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে। বিশেষ সিবিআই আদালত তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রমাণের অভাব’ উল্লেখ করে জিয়া খানের আত্মহত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেনি। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল।

মুম্বই মন্দিরে বেশ হাসিমুখেই পাওয়া গেল সূরজকে। ভক্তিতে গদগদ সূরজকে ক্যামেরাবন্দি করতে মন্দির চত্বরে পাপারাজ্জি এবং মিডিয়ার বিশাল ভিড়ও জমা হয়েছিল। অভিনেতা একটি সাদা জ্যাকেট এবং জিন্সের সঙ্গে কালো টি-শার্ট পরে এসেছিলেন।

পুজো দেওয়ার পর ফের তিনি মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারে ফিরে আসেন। এবং মিডিয়াকে ছবির জন্য পোজও দেন। তাঁর সঙ্গে ছিল বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তা। এমনকী মন্দির প্রাঙ্গণে কয়েকজন ভক্তর সঙ্গে সেলফিও তোলেন তিনি।

আদিত্য পাঞ্চোলি ও জারিনা ওয়াহাবের ছেলে সূরজ। তিনি ২০১৫ সালে সুনীল শেট্টির মেয়ে আথিয়া শেট্টির সঙ্গে ‘হিরো’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। ছবিটিকে সমর্থন করেছিলেন সলমন খান এবং সুভাষ ঘাই। ‘হিরো’ ছাড়াও তিনি ‘স্যাটেলাইট শঙ্কর’ এবং ‘টাইম টু ডান্সের’ মতো ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তবে একটা সিনেমাও চলচ্চিত্র সমালোচকদের মনে দাগ কাটতে পারেনি। না পেয়েছে বক্স অফিসে সাফল্য।

জিয়া খানকে ২০১৩ সালের ৩ জুন তাঁর মুম্বইয়ের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২৫। এরপর এই মৃত্যু মামলায় প্রধান দোষি সাব্যস্ত হন সূরজ। জিয়ার লেখা একটা চিঠি পুলিশের হাতে আসে ১০ জুন। যেখানে লেখা ছিল সূরজ তাঁকে মানসিক ও শারীরিকভাবে শোষণ নির্যাতন করছে। এরপরই সূরজকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জিলাই মাসে সূরাজ জামিনে ছাড়া পান। 

হিন্দুস্তান টাইমসকে একটি সাক্ষাৎকারে এর আগে সূরজ বলেছিলেন, ‘জিয়ার সবচেয়ে খারাপ সময়ে আমিই একমাত্র ছিলাম। তার পরিবার এখন বিচারের জন্য দৌড়চ্ছে, তারা ন্যায়বিচারের কথা বলছে, কিন্তু তাঁরা মেয়ে বেঁচে থাকতে মেয়ের পাশে কখনোই ছিল না। আমি জিয়ার পরিবারকে জানিয়েছিলাম যে সে বিষণ্ণতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমি তখন তার জন্য যতটা সম্ভব করেছি।

কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে আমারও বয়স তখন মাত্র ২০ বছর ছিল। নিজের যত্নই ঠিকঠাক নিতে পারতাম না। তবু আমি কয়েক বছরের বড় জিয়ার যত্ন নেওয়ার সবরকম চেষ্টা করেছি। সেই সময় আমার থেকে বেশি ওর নিজের পরিবারকে প্রয়োজন ছিল। দুঃখজনক সত্যিটা হল- তাঁর পরিবার, তাঁর মা শুধুমাত্র জিয়ার জীবনে তক উপস্থিত ছিলেন যখন তাঁদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন ছিল। ’

নিউজ- হিন্দুস্থান টাইমস

Post a Comment

Previous Post Next Post