শেবাগের শঙ্কা' নিষিদ্ধ হতে পারে ধোনি!

 


চারটি আইপিএল ও দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি—চেন্নাই সুপার কিংসের সব অর্জন মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্বে। গত বছর আইপিএলে সদিচ্ছায় নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন ধোনি। তাঁর জায়গায় রবীন্দ্র জাদেজাকে অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু জাদেজার নেতৃত্বে ভরাডুবি হয় চেন্নাইয়ের। প্রথম ৮ ম্যাচের ছয়টিতেই হারে তামিলনাড়ুর দলটি। ব্যর্থতার দায় নিয়ে জাদেজা অধিনায়কত্ব ছাড়লে আবারও নেতৃত্বভার দেওয়া হয় ধোনির কাঁধে।


এ বছর শুরু থেকেই ধোনির নেতৃত্বে খেলে আসা চেন্নাই বেশ ভালোই করছে। পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতে পয়েন্ট তালিকার তিনে আছে তারা। কিন্তু ধোনির জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর দলের দুর্বল ও অনভিজ্ঞ বোলিং বিভাগ। এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই ১৭৫ বা তার বেশি রান দিয়ে ফেলেছেন চেন্নাইয়ের বোলাররা। দুটিতে আবার প্রতিপক্ষের সংগ্রহ ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।


এর চেয়েও অস্বস্তির বিষয়, চার ম্যাচে ১০ বা তার বেশি অতিরিক্ত রান দেওয়া। তুষার দেশপান্ডে ২ নো এবং ৩ ওয়াইডে ১১ বলে ওভার শেষ করে আইপিএল ইতিহাসের দীর্ঘতম ওভারের বিব্রতকর রেকর্ডই গড়ে ফেলেছেন। সতীর্থ বোলারদের এমন নির্বিষ ও দিশাহীন বোলিং দেখে ধোনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।বলেছিলেন, ‘অতিরিক্ত রান দেওয়া কমাতে না পারলে আমাকে আর অধিনায়ক পাবে না।’


কিন্তু কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। চেন্নাইয়ের বোলাররা যেন নো–ওয়াইডের ঢল লাগিয়েছেন! এভাবে চলতে থাকলে ধোনিকে সদিচ্ছায় অধিনায়কত্ব ছাড়তে হবে না; বরং মন্থর ওভার রেটের কারণে তাঁকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বীরেন্দর শেবাগ। ভারতের সাবেক ওপেনার ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘ধোনিকে দেখে খুশি মনে হচ্ছে না। ওর দলের বোলাররা নো–ওয়াইড দেওয়া কমাতে পারছে না। অতিরিক্ত রান দেওয়ার কারণে প্রতি ম্যাচেই ২ থেকে ৩ ওভার বেশি বোলিং করতে হচ্ছে। একটা পর্যায়ে গিয়ে এমন যেন না হয় যে ধোনিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর চেন্নাই অন্য কারও নেতৃত্বে খেলছে।’


হাঁটুর চোটও বেশ ভোগাচ্ছে ধোনিকে। একাধিক ম্যাচে কিপিংয়ের সময় তাঁকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলতে দেখা গেছে। ৪২ ছুঁই ছুঁই যে কারও পক্ষে এ ধরনের চোট থেকে দ্রুত সেরে ওঠা কঠিন। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই শেবাগ বলেছেন, ‘ওর চোটের যে অবস্থা, মনে হচ্ছে সামনে বেছে বেছে কিংবা মুষ্টিমেয় কিছু ম্যাচ খেলবে। সে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বোলাররা নো–ওয়াইড দিতেই থাকলে ওকে হয়তো বিশ্রাম নেওয়ার কথা ভাবতে হবে।’


এ মৌসুমে চেন্নাইয়ের বোলিং লাইনআপের খুব একটা উন্নতির সুযোগ দেখছেন না শেবাগ, ‘আমি প্রথম দিন (উদ্বোধনী ম্যাচ) খেলা দেখেই বলেছি, ওদের বোলিং বিভাগ দুর্বল। এটা নিয়ে ওদের কাজ করতে হবে। এই মৌসুমে কতটুকু উন্নতি করতে পারবে জানি না। তবু হাতে যা পুঁজি আছে, সেটারই যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বোলারদের আরও নির্ভুল হতে হবে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ম্যাচের দিকে তাকান, ওরা ৩০ থেকে ৩৫টা ডট বল করেছে। তার মানে, প্রায় ৬ ওভার কোনো রান দেয়নি। এরপরেও ২১৮ রান দিয়ে ফেলেছে। কারণ, অতিরিক্ত বলগুলোতে অনেক চার–ছক্কা খেয়েছে।’

Post a Comment

Previous Post Next Post