কেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই দলটি দিয়ে সংখ্যালঘু আন্দোলনের আর কিছুই করা সম্ভব না ?


যে সংঘটনটি রাস্ট্রধর্ম বাতিলের জন্য এক সময়ে শেখ হাসিনার মদতে এরশাদ সরকারের রাস্ট্রধর্ম ইসলাম এবং সাম্প্রদায়িক তোষন নীতির বিরুদ্ধে সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে একীভুত করে আন্দোলন করে ছিল, একদা বাংলাদেশকে ইসলামীকরনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের একটা বৃহৎ শক্তি হিসাবে বাংলাদেশের ভিতর এবং যথারীতি আন্তর্জাতিকভাবে সফলভাবে কাজ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে আভিভুত হয়েছিল।তথাকথিত সেকুলার রাজনৈতিক দলগুলি এই সংখ্যালঘুদের অধিকার আন্দোলনকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছিল।
এখন এটা স্পস্ট যে তথাকথিত সমস্ত অসাম্প্রদায়িক দলগুলির মদতে তাদের স্বার্থে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করার জন্য হিবৌখ্রী সৃস্টি করেছিল, যদিও তাহা তথাকথিত দলগুলির একটি স্ট্রাটেজি/কৌশল ছিল কিন্তু এটা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য একটি সবচেয়ে খারাপ ফাঁদ ও পরিকল্পনা, যাহাতে সংখ্যালঘুরা পাতানো ফাঁদে পা দিয়েছিল। কারন বিশেষত যুক্তরাস্ট্রে আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার তাদের আন্তর্জাতিক সমর্থন হারিয়েছিল , এই পলিসি ও কৌশলের ফলে অবাধ ও মুক্ত নির্বাচনের অধিকার আদায় হয়েছিল। এই পলিসি ও কৌশলের ফসল হিসাবে আজকেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। আওয়ামী লীগের নিজ স্বার্থে ও মদতে তৈরী এই হিবৌখ্রী দলটা আজকে কেন মুখ তুবড়ে পরে আছে? এটার অর্থ কি আওয়ামী লীগের কাছে হিবৌখ্রী ঐক্য পরিষদের এই মুহুর্তে আর কোন প্রয়োজনীয়তা নাই? কেন হিবৌখ্রী নতুন করে আর আন্দোলনে নামতে পারছে না? তাহলে সংখ্যালঘুরা কি তাদের অধিকার পেয়েছে? বার বার প্রতিজ্ঞা করা শর্তেও নির্বাচনে জয়লাভের পর সংখ্যালঘুদের সম অধিকার দেয়ার সংবিধানে আইনি সংশোধন করতে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে, যদিও একাধিক বিষয়ে সংবিধানে অনেক সংশোধনী করা হয়েছে। তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলি এখন এই একই সংখ্যালঘুদের সম অধিকারের দাবী ৭২ সংবিধান বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির পথে আর হাটে না। অন্যদিকে বর্তমানে হিবৌখ্রী কেন ৩৩বছর ধরে তাদের ঐ একই পুরনো দাবীগুলি নিয়ে কোরাস গান গাইতেছে?
এই বর্তমান হিবৌখ্রী এর নেতৃবৃন্দ কোন রাজনৈতিক উপলব্দি বা বাস্তবতা মেনে নিয়ে সঠিক দিক নির্দেশনার কোন নতুন পন্হা বা উপায় বের করা বা উপস্হাপন করতে পেরেছে কি? ১৯৮৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৩ বছর নতুন কোন টেকনিক বা নীতি, দিক নির্দেশনা দিতে পারবে কিনা এ ব্যাপারে শুধু সন্দেহ নয়, আমার বিশ্বাস তাদের দ্বারা একাজ করা একেবারেই অসম্ভব।
হিবৌখ্রী ঐক্য পরিষদের বর্তমান ও অতীতের নেতৃবৃন্দ সকলেই দেশের প্রচলিত তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তারা এমনই দুর্বল প্রভাবহীন ও বাকশক্তিহীন/ ভয়েসলেস যে ঐ রাজনৈতিক দলগুলিকেও তারা এই সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের দাবীর পক্ষে আজ পর্যন্ত সরাসরি সংযুক্তি করন করতে পারে নাই। দাবীগুলিকে তাদের ম্যানিফেস্টেও সংযুক্ত করতে পারে নাই। আওয়ামী লীগ বিএনপি জাসদ জাতীয় পার্টি গনফোরাম ন্যাপ কোন দলই একাত্ত্বতা ঘোষনা করে নাই। সহজ কথায় ঐক্য পরিষদ নেতৃত্ব তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক দলগুলিকে দাবীগুলি নিয়ে কনভিন্স/ প্রভাবিত করতে পারে নাই। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন হয় তথাকথিত দলগুলির ঐক্য পরিষদের দাবীর পক্ষে সমর্থন আছে কিনা?
কোন দেশই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতির প্রভাব মুক্ত নয়। আম্তর্জাতিক রাজনীতিতে ওআইসি মুসলমানদেশ গুলির পক্ষে একটি গুরুত্বপুর্ন সংগঠন। এর সদস্য দেশগুলি ওআইসি নীতিতে বিশ্বাস করে। দৃশ্যমান ঐ ওআইসির নীতিমালার বাইরে স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ যদি আসাম্প্রদায়িক রাস্ট্র হয় (ইসলাম রাস্ট্র ধর্ম বাতিল করে) তাহলে বাংলাদেশের ওআইসি মেম্বারশিপ বাতিল করা হবে। বাংলাদেশের কোন সরকারের পক্ষে আজকের আন্তর্জাতিক বিশ্ব রাজনীতির আলোকে এটি কি সম্ভব? বাংলাদেশ কি ওআইসি সংঘটন থেকে বেরিয়ে আসবে? একদিকে ওআইসি সংঘটনের শর্ত পুরন করার বাধ্যবাধকতা আবার অন্যদিকে আন্তর্জাতিকভাবে নিজেকে অসাম্প্রদায়িক জাহির করার জন্য আন্তর্জাতিক আঙ্গিনায় তাদের বিভিন্নভাবে কৌশল খাটিয়ে প্রমান করতে হচ্ছে তারা সংখ্যালঘুর উপর নির্যাতন করে না, সংখ্যালঘুদের সম অধিকার নিয়ে সরকার যথেস্ট সচেতন।
তাই যে সরকারই আসুক না কেন সংখ্যালঘুদের পক্ষে সাফাই ও নির্যাতনের বিচার করার অঙ্গীকার করে, এমনকি অতীতের শাহাবুদ্দিন কমিশনের প্রস্তাবিত মামলা গুলিও বিচার করার মিথ্যা তালবাহানা ও বুলি আউরাই। বার বার প্রতিশ্রুতি করেও বিচারবিভাগীয় তদন্ত স্হগিতাদেশ জারি করা হয়। উল্লেখ্য ভারতে ২৫ কোটি মুসলিম থাকার পরেও ওআইসি সদস্য পদ দেওয়া হয়নি ধর্মনিরপেক্ষ রাস্ট্র (রাস্ট্রধর্ম ইসলাম ছিল না) বলে, পর্যবেক্ষক সারিতে একবার ভারতকে রাখা হয়েছিল।
এগুলিকে ভাওতা মৌখিক প্রতিশ্রুতি বা lip service বলা হয়। বিগত ৩৩ বছর ধরে এ বোগাস মিথ্যা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির কোন পরিবর্তন হয়নি। এরশাদ, খালেদা, হাসিনা কোন সরকারের আমলেই এর কোন রদবদল হয়নি। তারা বারবারই একই জিনিস পুনরাবৃত্তি করে বলে “বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বলে কিছু নাই, সব জনগনই সমান অধিকার ভোগ করছে”। আসলেই কি তাই?
হিবৌখ্রী কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা ও আঞ্চলিক কমিটিগুলিতে যারা নেতৃত্বে আছে তারা সবাই ৯৯.৯% তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃবৃন্দ ও তাদের সংগে ওতপ্রোতভাবে জরিত। তারা কখনো ঐ সকল রাজনৈতিক দলের নীতি ও নির্দেশের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবে না। যদি নেয় তাহলে তাদের ঐ সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকা এবং এই যুক্ত থাকার ফলে অর্জিত আর্থিক সুযোগ সুবিধা, সামাজিক প্রভাব আর থাকবে না। যেটা ব্যবহার করে তাদের অর্থ ও প্রতিপত্তি তৈরী করেছে, তা চলে যাবে, এমনকি প্রাক্তন বিচারপতি সুরেন্দ্র সিংহার মতো সবকিছু ফেলে এক কাপড়ে দেশও ত্যাগ করতে বাধ্য হবে। ঐক্য পরিষদের এই নেতৃবৃন্দ, তারা নিজ স্বার্থের বাইরে কোন আন্দোলনে যুক্ত হয়নি এবং হবেও না। একই কথা প্রযোজ্য ঐ ৯৯.৯% সংখ্যালঘু সরকারী উচ্ছিস্টভোগী আমলা ও সরকারী কর্মকর্তা যারা এই ঐক্য পরিষদ দলেও আছে এবং আজও হিবৌখ্রীনের নেতৃত্বে আছে।
এই লোকগুলি ঘুর্নাবর্তভাবে যারা একবার আওয়ামী লীগের কাছে সংখ্যালঘুদের বেচে, আবার সংখ্যালঘুদের কাছে আওয়ামী লীগকে বেচে নিজের প্রভাবকে বিস্তার করে রাখে, নিজের প্রয়োজনীয়তা বিক্রি করে প্রত্যেক দলের কাছে জাহির করে।
এখনো হিবৌখ্রী নেতৃবৃন্দদের সময় ও সুযোগ দুটোই আছে তৃনমুল স্তর থেকে সমস্ত হিন্দু সংগঠন,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা, আহমেদিয়া, কাদিয়ানি মসজিদ ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সকলকে নিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবীর কথা বলা। এপর্যায়ে একটি কোয়ালিশন তৈরী করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান হিন্দু মহাজোট এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক দলের সাথে এ আন্দোলন পরিচালনা করতে পারে যেমন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো, যেখানে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ একই ব্যানারে যৌথভাবে কাজ করেছিল। এ কোয়ালিশন সংখ্যালঘু স্বীকৃতি দাবী এবং জাতীয় সংসদে সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করতে প্রত্যেক জেলা থেকে একজন করে সংখ্যালঘু এম পি মোট ৬৪ জেলায় ৬৪ জন এম পি দাবী করা। এই এম পি গুলির আসন সংরক্ষিত, অথবা নির্বাচিত অথবা সংখ্যালঘু জনগনের দ্বারা মনোনীত হতে পারে।
হি বৌ খ্রী উপরের ফর্মুলা অনুযায়ী নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের সংঘটনে মোমবাতি জ্বালানোর মতো মানুষ আর থাকবে না, যতক্ষন পর্যন্ত তাদের ব্যর্থতা স্বীকার করে তা উত্তোরনে বৃহত্তর স্বার্থ দেখে এ আবর্ত / রাজনৈতিক বন্ধ্যার্ত থেকে বের হয়ে না আসবে ততক্ষন হি বৌ খ্রী ঐক্য পরিষদ কোন দাবী আদায়ের আন্দোলনও করতে পারবে না।
পুর্ব বর্নিত দাবীগুলির সাথে সকল দলগুলি হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান , পাহারিয়া, গারো, হাজং সাওতাল চাকমা মনিপুরি, আহমেদিয়া, কাদিয়ানি সকলকে সম্পৃক্ত করে দাবী আদায়ের জন্য মাঠে না নামে তাহলে হবে না। হিবৌখেী কি এটা করতে পারবে? কিন্তু তারা করবে না শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থ, এবং ইগোর জন্য। এ কারনে আমি মনে করি হিবৌখী দিয়ে সংখ্যালঘু আন্দোলন ও দাবী আদায় করা হবে না, তারা করতেও পারবে না।
উল্লেখ্য প্রত্যেক সরকারই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার করার অঙ্গীকার করে। কি ধরনের বিচার আমরা পায় তার উদাহরন হিসাবে যেমন স্কুলে পাঠ্য বইতে কোন হিন্দু শিক্ষক বিবর্তনবাদ পড়াইলে (কারন এটি ইসলাম বিরোধী বিশ্বাস) তখন মসজিদ থেকে হাজার হাজার লোক হিন্দু শিক্ষকের বাড়ীতে হামলা করে, মৌলবাদী জনগন নিয়ে আক্রমন করায়, হিন্দু শিক্ষককে ৭ বছর কারাদন্ড দেয়া হয় আর গত ১৩ই অক্টোবরে ২০২১ দায়ী দুর্বৃত্ত ইকবালকে শাস্তি দেয় মাত্র ১৬ মাস যার কারনে ৭ জন হিন্দু হত্যা ও শত শত ঘর বাড়ী মন্দিরে হামলা হয়েছিল। নাসিরনগর হামলাতে আওয়ামী ও বিএনপি উভয় দলের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সহ হাজারাধিক মানুষ জড়িত ছিল, কেবল ২ জন ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৮ জনের ৪ বছর সাজা হয়েছিল। সংখ্যালঘু নির্যাতনের জন্য এ ধরনের দায়সারা বিচারই করা হয়।
এ সরকারই মৌলবাদীদের বাড়তে দিয়েছে এখন কি সরকারের পক্ষে স্কুল কলেজে আবার বিবর্তনবাদ পড়ানো সম্ভব? ইসলাম বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক, তাই ইসলামী পাঠ্যপুস্তক কি সংশোধন সম্ভব? রাস্ট্রধর্ম ইসলাম কি বাতিল করা সম্ভব? ৭২ সংবিধান ফেরত আনা কি সম্ভব? তাই যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু জনগনকে ৭২ সংবিধানে ফেরার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও আশা দেয়া এখনই বন্ধ করা উচিত।
পরিস্হিতি অবলোকন করে যে জিনিসটা উপসংহারে আসা যায়, এবার যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, ইসলামিক মৌলবাদী দলগুলির কাছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হতে পারে। যদি তাই হয়, তখন আওয়ামী লীগ কি আবারও হিবৌখ্রী ঐক্য পরিষদকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতের সহযোগিতা ও নৈকট্য পেতে বিজেপি বজরং আসএসএস শিবসেনার সহযোগিতার জন্য ঐক্য পরিষদকে ব্যবহার করবে? এরজন্যই কি ঐক্য পরিষদকে বাঁচিয়ে রেখেছে?
তখন আমেরিকার বিভক্ত হিবৌখ্রী ঐক্য পরিষদের নেতা ও দলগুলিকে একীভুত করে দিয়ে আগের মতো কংগ্রেস সিনেট ও স্টেইট ডিপার্টমেন্টে দৌঁড়াদুড়ি ও লবিং করবে কিনা। সংখ্যালঘুদের নিয়ে আবার কি একই খেলা শুরু হবে?
আজকে ভাষা আন্দোলনের নায়ক প্রথম পাকিস্তান গনপরিষদে রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই উর্দু নয় এই বিলটি যিনি তুলেছিলেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত তাহার নাম ভাষা শহীদ ও আন্দোলনে রাখা হয়নি। এইভাবে হিন্দুদের ইতিহাস মুছে ফেলা হয় হিন্দুদেরকে প্রান্তিক/ মার্জিনাল করে।
একইভাবে বর্তমান সরকার ১৯৭১ এ হিন্দু গনহত্যা এবং ১৯৯০ সালে গন আন্দোলনে সংখ্যালঘুদের কোন ভুমিকা ও অবদান আর রাখা হয়নি, ইতিহাসে স্বীকার করে না। সংখ্যালঘু নেতাদের কোন নাম অবদান নাই। সেদিন ১ কোটি হিন্দু রিফিউজি হয়েছে, রাজাকার আলবদর হিন্দুদের মেরেছে এটা এখন উল্লেখ করে না, কারন গনহত্যায় সংখ্যা গরিষ্ঠই হিন্দু ছিল। হিন্দু বলে একই ভাবে হিন্দু গনহত্যা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলেছে। হিন্দু গনহত্যার স্বীকৃতিও দেয়া হয়নি, কারন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের গনহত্যা করা হয়েছে । এখন এটার স্বীকৃতির চেস্টা করা হচ্ছে প্রবাসী সংখ্যালঘু নেতা নেত্রীদের পক্ষ থেকে। এ বিলটি ইউ এস কংগ্রেসে উঠানো হয়েছে। ইউ এস কংগ্রেসে পাস হলে জাতিসংঘেও উঠানো যাবে। এমনকি এখনও তথাকথিত অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ মুক্তিযুদ্ধের দাবীদার আওয়ামী লীগ সরকারের অসহযোগিতার কারনে এটি প্রস্তাবাকারে রয়ে গেছে।
সম্প্রতি ২০২৩ ইউ এস রিপোর্টেও সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা উঠে এসেছে, মাঠে তখন থেকে ধারাবাহিক ভাবে আন্দোলন চালিয়ে গিয়ে একইসাথে সংখ্যালঘুদের দাবীগুলি নিয়ে সরকারের সাথে লবিং করে এই দাবী দুটি (সংখ্যালঘু স্বীকৃতি ও ৬৪ আসন) আদায় করা সম্ভব হতো। সংখ্যালঘু দলগুলি সে সুযোগ লাভের জন্য এখনও মাঠে নামছে না। উপরের দাবী গুলির জন্য নির্বাচনের আগমন মূহুর্তে এখনি মাঠে নামা উচিত। দেশে ও বিদেশে আন্দোলনের চাপে যদি ৬৪ টি আসন পাওয়া যায় তাহলে পার্লামেন্টে অসাম্প্রদায়িক সরকার গঠন করা সম্ভব হবে। এবং অসাম্প্রদায়িক দলগুলি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবে, দেশের উন্নতি হবে।
- বিনীত
বিদ্যুৎ সরকার
বিশিষ্ট মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু নেতা
যুক্তরাস্ট্র।

Post a Comment

Previous Post Next Post